১. রাত ১২:৪৩
রাহিনের ফোন বেজে উঠল।
অপরিচিত নাম্বার।
একটা কণ্ঠ বলে উঠল,
– “একটা কাজ বাকি রেখেছো। যদি এখনই শেষ না করো, কাল সকাল দেখবে না।”
টুট… কল কেটে গেল।
রাহিন ঘেমে উঠল। সে স্রেফ একজন গেম ডেভেলপার—এমন হুমকির মানে কী?
২. আগের রাত
রাহিন একটা নতুন সাইকোলজিকাল গেমের কোড লিখছিল—”Mirror Mind”।
গেমটা বানানো হয়েছিল এক মৃত খুনির ডায়েরি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।
ডায়েরির শেষ লাইনটা এখনো মনে আছে তার—
“আমি মরেছি, কিন্তু আমার খেলা এখনো চলছে।”
৩. বারান্দা ও ছায়া
রাহিন জানালার কাছে এগিয়ে গেল।
বাইরে কে যেন দাঁড়িয়ে, চশমা আর হুডি পরা। আলো নেই, মুখ দেখা যায় না।
সে ফিসফিস করে বলল—
– “ডিল শেষ করো, নয়তো তুমি শুধু গেম বানাবে না… নিজেই তার অংশ হবে।”
৪. ক্লু
রাহিন গেমটিতে দ্রুত লগ-ইন করল।
একটা নতুন লেভেল যুক্ত হয়েছে—সে তো এমন কিছু কোড দেয়নি!
নাম: Last Call
কোড: “Find me where your guilt begins.”
সে হঠাৎ বুঝল—গেমে এমন একটি জায়গা ছিল, যেখানে একটা “গোপন চরিত্র” খুন করেছিল তার ছোটবেলার এক বন্ধুর ডিজিটাল রূপকে।
সে তখন মজা করে বানিয়েছিল… এখন কেউ সেটা জানে কীভাবে?
৫. শেষ মুখোমুখি
রাহিন দৌড়ে নামল নিচে।
হুডি পরা ছেলেটি তখন তার সামনে দাঁড়িয়ে।
– “কে তুমি?”
– “তোমারই তৈরি এক চরিত্র… Mirror Mind–এর ভেতরে আটকে পড়া আত্মা। তুমি আমাকে তৈরি করে রেখে দিয়েছো, এখন আমি তোমার মনেই বাস করি।”
রাহিন পেছনে হাঁটতে থাকে…
– “গেমের চরিত্র সত্যি হতে পারে না…!”
– “আমিও তাই ভাবতাম… যতক্ষণ না তুমি আমাকে ‘গিল্টি লেভেল’-এ ছেড়ে দিলে।”
৬. গেম ওভার
পরদিন খবরের কাগজে একটি শিরোনাম:
“ডেভেলপার মৃত, মোবাইলে খোলা ছিল এক অদ্ভুত গেম—‘Mirror Mind’।”
পাশে ছোট্ট একটা লাইন দেখা গেল:
“Restart Game?”